গালি দেওয়া হারাম এ বিষয়ে কয়েকটা হাদিস
গালি দেওয়া ও অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা— কোনো মুমিনের মানুষের কাজ হতে পারে না। ভদ্র ও সভ্য মানুষরা ক্রোধে অগ্নিশর্মা হলেও মার্জিত শব্দ ব্যবহার করেন। প্রয়োজনে সংযতভাবে শোকজ করেন। তবুও কাউকে আশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেন না।
বিপরীতে কিছু মানুষ রাগের অতিশয্যে হুঁশ-জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অশ্লীল ও শ্রুতিকটূ বাক্যবাণে অন্যকে নাজেহাল করে। গাল-মন্দ করে সম্মান নষ্ট করে। এতে সে পাশবিক ও অমানবিক আনন্দানুভব করে।
গালি দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম
বৈধ কিংবা অবৈধ— যেকোনো কারণেই হোক, কাউকে গালি দেওয়ার অনুমতি ইসলামে নেই। এমনকি হাসি-কৌতুক ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অশোভনীয় ও নিন্দনীয়।
গালি দেওয়া মুনাফিকের অভ্যাস
চারটি অভ্যাস যদি কারও ভেতর থাকে, হাদিসে তাকে মুনাফিক বলা হয়েছে। এমনকি এগুলোর কোনো একটি পাওয়া গেলেও সে মুনাফিক হিসেবে পরিগণিত হবে। হাদিসের আলোকে সেগুলো হলো, ‘যখন তাকে বিশ্বাস করা হয়, সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে। কথা বললে, মিথ্যা বলে। অঙ্গিকার করলে ভঙ্গ করে এবং বিবাদ-বিতর্কে উপনীত হলে অন্যায় পথ অবলম্বন করে।
(বুখারি, হাদিস : ৩৪; মুসলিম, হাদিস : ১০৬)
আরেক হাদিসে আছে, ‘মুমিন ব্যক্তি কারো সম্মানে আঘাত করে না। কাউকে অভিশাপ দেয় না। অশ্লীল কাজ করে না। মন্দ কথা বলে না।’
(তিরমিজি, হাদিস : ২১০৫)
অন্যের দোষচর্চা বড় গুনাহ
রাসুল (ﷺ) বলেন----- ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’
(বুখারি, হাদিস : ৬০৪৫, ৭০৭৬; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৩)
রাসুল (ﷺ) আরো বলেছেন, ‘পরষ্পর গাল-মন্দকারী উভয়ে দুইটি শয়তান। তারা পরষ্পরের নিন্দা করে এবং মিথ্যা কথা বলে।’
(মুসনাদু আহমদ, হাদিস : ১৬৮৩৬)
গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে
রাসুল (ﷺ) বলেছেন----
‘যখন কোনো ব্যক্তি তোমাকে তোমার সে বিষয় নিয়ে গালি দেয়— যা সে জানে, তখন তুমি সেই ব্যক্তিকে সেই বিষয় ধরে গালি দিয়ো না— যা ওর মধ্যে আছে আর তুমি তা জানো। এতে তোমার পুণ্য লাভ হবে এবং ওর ওপর হবে পাপের বোঝা।
(সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৯৪)
4 comments