/beautyofbangladesh
Palash12
·
2 years ago
নদীনালা
নদী ভাঙন, পানিবদ্ধতা, বন্যা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ছোট-বড় নদী, নালা, খাল, ডোবা ড্রেজিং করা হচ্ছে। সারাদেশের দুইটি সিটি কর্পোরেশন ৩৭৫টি উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২টি খাল এবং ডোবা ৮টি ড্রেজিং করা হবে। এ সব নদী ডোবা নালা খালের ৪ হাজার ৮৭ কিলোমিটার ড্রেজিং মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এ প্রকল্পে এক হাজার তিনশত কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশের নদ-নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা, নাব্যতা এবং পানি নিঙ্কাশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং নদীতে পানির প্রকোপ ও নদী ভাঙনের ঝুঁকি হ্রাস পাবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ মনিটরিং কাজী তোফায়েল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পানি ধরে রাখা, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং বন্যার প্রকোপ হ্রাস করা জন্য এটা বড় প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে ৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর এলাকার পানিবদ্ধতা, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় হতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি সে সুবিধাধার আওতায় আসবে। এর কারণে প্রতিবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের দুইটি সিটি কর্পোরেশন ৩৭৫টি উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২টি খাল এবং ডোবা ৮টি ড্রেজিং করার কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেন ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি সে সুবিধার আওতায় আসবে। এর কারণে প্রতিবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ দিকে পাবনা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় নদী খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, পানি সম্পদের সমন্বিত টেকসই উন্নয়ণের লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যান-২০২১ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিগত ১০ বছরে ১ হাজার ৩৬৭ কিলোমিটার নদী পুন:খনন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এবার আমরা এক হাজার তিনশত কোটি টাকা ব্যয় সারাদেশের দুইটি সিটি কর্পোরেশন ৩৭৫টি উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২টি খাল এবং ৮টি ডোবানালা ৪ হাজার ৮৭ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ করছি। ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশের নদ-নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা, নাব্যতা এবং পানি নিঙ্কাশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং নদীর প্রকোপ ও নদী ভাঙনের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
দেশের পানি সম্পদের সমন্বিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ডেল্টা প্লান-২১০০ সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের স্বার্থে সারাদেশে সাতটি বেসিনে বিভক্ত করে বেসিন ভিক্তিক সমীক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তা বেসিনের সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে। কর্ণফুলী বেসিন ও সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদী বেসিন সমীক্ষার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বেসিন সমীক্ষাধীন রয়েছে। মেঘনা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বেশিনের সমীক্ষার জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পানিবদ্ধতা, বন্যা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে নিরাপত্তা রক্ষায় সারাদেশের দুইটি সিটি কপোরেশন ৩৭৫টি উপজেলার ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২টি খাল এবং ৮টি ডোবানালা ৪ হাজার ৮৭ কিলোমিটার ডেজিং কাজ চলছে। ডোবা-নালা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে। শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পানি ধরে রাখা, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং বন্যার প্রকোপ হ্রাস। এছাড়া প্রকল্পে পানি নিঙ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে ৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর এলাকার পানিবদ্ধতা, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় হতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি সে সুবিধার আওতায় আসবে। এর কারণে প্রতিবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার নৌ-চলাচলের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আগামীতে আরো ৫ হাজার ৫০০টি ছোট নদী ড্রেজিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে দেশের নদ-নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা, নাব্যতা এবং পানি নিঙ্কাশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং নদীর প্রকোপ ও নদী ভাঙনের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। দিকে ডেল্টা প্লান্টভুক্ত ২য় প্রকল্প বাঙালি-করতোয়া-ফুলজোগ-হুরাসাগর নদী সিস্টেমের ডেজিং কাজে দ্রুত শুরু হবে।
6 comments